• ঢাকা বুধবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ২১ কার্তিক ১৪৩১
logo
এক ইলিশ বিক্রি হলো ৬ হাজার ৩০০ টাকায়
পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় ২ কেজি ৩০০ গ্রাম ওজনের একটি ইলিশ ৬ হাজার ৩২৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে।  বুধবার (৬ নভেম্বর) বিকেলে কুয়াকাটা-সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে জেলে মুনসুর আলীর জালে এ মাছটি ধরা পড়ে। কুয়াকাটা মাছ বাজারের ঘরামী ফিসে মাছটি বিক্রির জন্য নিয়ে আসলে নিলামের মাধ্যমে ফিস ভ্যালীর পক্ষে মো. হাসান ১ লাখ ১০ হাজার টাকা মন দরে ক্রয় করেন। স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ী বেল্লাল হোসেন বলেন, এত বড় ইলিশ সচরাচর দেখা যায় না। অবরোধের পরে এই প্রথম এতো বড় ইলিশের দেখা মিলছে। ৬ হাজার ৩২৫ টাকায় মাছটি কিনে নেন হাসান নামে এক মৎস্য ব্যবসায়ী। এ সময় মাছটি একনজর দেখার জন্য অনেকেই ভিড় করে। জেলে মুনসুর বলেন, ২২ দিনের অবরোধ শেষে মাছ ধরার উদ্দেশ্যে সাগরে গিয়ে জাল ফেলি। এ সময় বড় মাছটি আমাদের জালে ধরা পড়ে। বড় মাছের চাহিদা বেশি, দামও ভালো। সাগরে এমনিতেও এখন বেশি মাছ মিলছে না। তবে বড় মাছ পাওয়ার আনন্দ অনেক বেশি। আড়ত ব্যবসায়ী রেজাউল ইসলাম বলেন, এত বড় মাছ এই বাজারে খুব কম পাওয়া যায়। তাই নিলামে ১ লাখ দশ হাজার টাকা দরে বিক্রি হয় মাছটি। এতে মাছটির মূল্য হয়েছে ৬ হাজার ৩২৫ টাকা। কলাপাড়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, এটি আসলেই ভালো খবর। এ সাইজের মাছ মূলত গভীর সমুদ্রে থাকে, সমুদ্রের মোহনায় পলি পড়ার কারণে গভীরতা কমে যাচ্ছে, তাই সমুদ্র মোহনা খনন এবং জালের প্রশস্ততা বাড়ালে এ মাছ বেশি ধরা পড়বে। আরটিভি/এএএ/এসএ  
৫ ঘণ্টা আগে

অনুমোদন ছিল ২৪২০ টনের, ভারতে ইলিশ গেল ৫৩৩ মেট্রিক টন
দুর্গোৎসব উপলক্ষে সরকার অনুমোদিত ২ হাজার ৪২০ টনের বিপরীতে বেনাপোল বন্দর দিয়ে শনিবার পর্যন্ত ১৭ দিনে ভারতে গেছে সর্বমোট ৫৩৩ টন ইলিশ। রপ্তানির জন্য সময় বাড়ানোর অনুরোধ জানিয়ে ব্যবসায়ীরা বলেছেন, দেশে ইলিশ সংকট আর দামের ঊর্ধ্বগতির কারণে চাহিদা অনুযায়ী এবার তেমন একটা রপ্তানি করা যায়নি। বেনাপোল স্থলবন্দরের ফিশারিজ কোয়ারেন্টাইন কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান বলেন, গত ২৫ সেপ্টেম্বর ৪৯ রপ্তানিকারককে ২ হাজার ৪২০ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানিতে ছাড়পত্র দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে ৪৮ জনকে ৫০ মেট্রিক টন করে ও একজনকে ২০ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়। ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে ১২ অক্টোবর রাত পর্যন্ত ৫৩৩ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানি হয়েছে ভারতে; যার মূল্য ৫৩ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি টাকায় ৬৩ কোটি ৯৬ লাখ। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশ পরিচালনার দায়িত্বে আসে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এ সরকারের  মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা জানিয়েছিলেন, প্রথমে দেশের চাহিদা মিটিয়ে পরে বিদেশে ইলিশ রপ্তানি হবে। অবশ্য শেষ পর্যন্ত এমন সিদ্ধান্তে অনড় থাকেনি সরকার। দেড় মাসের মাথায় ‘বৃহত্তর স্বার্থে’ ভারতে ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়। গত ২৬ সেপ্টেম্বর ভারতে ইলিশ রপ্তানি শুরু হয়। গত বছর ইলিশ রপ্তানির অনুমতি ছিল ৩ হাজার ৯০০ টন। রপ্তানি হয়েছিল মাত্র ৬৬৩ টন। এ বছর ভারতে ২ হাজার ৪২০ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়। তবে অনুমোদিত পরিমাণের ইলিশ পাঠাতে পারেননি ব্যবসায়ীরা। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯–২০ অর্থবছরে ৪৭৬ টন ইলিশ ভারতে রপ্তানি হয়। ২০২০–২১ অর্থবছরে ১ হাজার ৬৯৯ টন ইলিশ রপ্তানি হয়। অন্যদিকে, ২০২১-২২ অর্থবছরে ১ হাজার ২৩০ টন, ২০২২-২৩ অর্থবছরে ১ হাজার ৩৯১ টন ইলিশ রপ্তানি করা হয়। সর্বশেষ ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৮০২ টন ইলিশ ভারতে রপ্তানি করা হয়। সে হিসাবে ৫ বছরে মাত্র ৫ লাখ ৩০ হাজার টন ইলিশ রপ্তানি হয় ভারতে। বেনাপোল স্থলবন্দর মৎস্য পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রের ইন্সপেক্টর আসাওয়াদুল ইসলাম জানান, পূজার ছুটির মধ্যে বিশেষ ব্যবস্থায় বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারতে ইলিশ রপ্তানি চালু ছিল। আজ শেষ দিনে ৩৬ টনের মতো ইলিশ ভারতে রপ্তানি হতে পারে। আজ ইলিশ রপ্তানির শেষ দিন পর্যন্ত মোট ৫৩৩ টন ইলিশ গেছে ভারতে। এদিকে শনিবার (১২ অক্টোবর) মধ্যরাত থেকে আগামী ৩ নভেম্বর পর্যন্ত ২২ দিন সাগর ও নদীতে ইলিশ ধরা, মজুত বা সংরক্ষণ এবং বিপণন সবই নিষিদ্ধ। এ বছর ৭০০ গ্রাম থেকে এক কেজি ওজনের প্রতি কেজি ইলিশ গড়ে ১০ মার্কিন ডলারে রপ্তানি হয়েছে, যা দেশের ১ হাজার ১৮০ টাকার মতো। দেশের বাজারে অবশ্য আরও অনেক বেশি দামে ইলিশ বিক্রি হচ্ছে।
১৩ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:১৬

ইলিশ রপ্তানির সিদ্ধান্ত বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের: মৎস্য উপদেষ্টা
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার জানিয়েছেন, ইলিশ রপ্তানির সিদ্ধান্ত বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের। ভারতের বিশেষ অনুরোধে মন্ত্রণালয় এই অনুমতি দিয়েছে, আমরা না। আমাদের কমিটমেন্ট আগের মতোই আছে। রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে এক সভায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা জানান। উপদেষ্টা বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় স্বাধীনভাবে এটা (রপ্তানির অনুমোদন) দিয়েছে। তারা একটা অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে এ অনুমোদন দিয়েছেন। দুর্গাপূজা উপলক্ষে ভারতের বিশেষ অনুরোধ ছিল। সে অনুযায়ী তারা করেছেন। রপ্তানি করলেই ইলিশের দাম বেড়ে যাবে না উল্লেখ করে মৎস্য উপদেষ্টা বলেন, দাম বেড়ে যাবে, এটাও ঠিক না। অনেক ইলিশ আছে দেশে। গতবারও তারা কম ইলিশ নিয়েছে। রপ্তানির খবরে দাম বাড়লে ব্যবস্থা নেব। দুর্গাপূজা উপলক্ষে বেশ কয়েক বছর ধরেই বাংলাদেশ থেকে ভারতে রপ্তানি করা হয় ইলিশ মাছ। তবে এবার তা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছিল। গত ১১ আগস্ট দেশের মানুষের চাহিদা মিটিয়ে তারপর ইলিশ মাছ বিদেশে রপ্তানি করা হবে বলে জানিয়েছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।  ইলিশ রপ্তানি বন্ধ করা হবে কি না, প্রশ্ন করলে ওইদিন তিনি বলেন, দেশের মানুষ যাতে ইলিশ মাছ পায় এবং দাম কমে, সেই উদ্যোগ নেওয়া হবে। দেশের মানুষ ইলিশ পাবে না, আর রপ্তানি হবে সেটা হতে পারে না। এ নিয়ে আলোচনার মধ্যেই গতকাল শনিবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জারি করা এক আদেশে ভারতে ৩ হাজার টন ইলিশ মাছ রপ্তানির অনুমোদন দেওয়া হয়। আরটিভি/একে/এআর
২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৭:৪২

ইলিশ কেলেঙ্কারি
‘স্যার, এইডা পদ্মার ইলিশ। খাইবেন আর আমার নাম নিবেন।’ এটা হলো খুচরা মাছ বিক্রেতার খুচরা ইতরামি। এই ধরণের ইতরামির সঙ্গে প্রায় সব ইলিশ-ক্রেতাই পরিচিত। অভ্যস্ত। বাঙালি বলতেই পদ্মার ইলিশের জন্য পাগল। ইলিশ সামুদ্রিক মাছ হলেও বঙ্গোপসাগরে পতিত প্রায় সব নদীতেই ইলিশ পাওয়া যায়। মূলত ডিম ছাড়ার জন্যই ইলিশ উজানের মিঠা পানিতে পাড়ি দেয়।  সেই মিঠা পানির ইলিশই স্বাদে-গন্ধে অতুলনীয় হয়ে ওঠে। কিন্তু পদ্মার ইলিশ অতো সহজ কথা নয়। দেশের প্রাপ্ত মোট ইলিশের এক হাজার ভাগের এক ভাগও হয়তো পদ্মার ইলিশ হবে না। যাহোক, কথা হচ্ছিল ইলিশ নিয়ে ইতরামি প্রসঙ্গে। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুথানের পর হঠাৎই চাউর হয়ে গেল, এবার বাজারে সস্তায় ইলিশ পাওয়া যাবে। সস্তায় ইলিশ প্রাপ্যতার যুক্তি দুইটা। এক. ইলিশ আর রপ্তানি হবে না। সব আমরাই খাবো। তাহলে বজারে যোগান বাড়বে। যোগান বাড়লে দাম কমবে। দুই. ঘাটে-পথে আর চাঁদাবাজি হবে না। ঘাটে থেকে বাজার পর্যন্ত পৌঁছাতে নানান ‘লীগ’ এবং পুলিশকে চাঁদা দিতে হতো। ইলিশের দাম বাড়ার সেটাও একটা কারণ ছিল। এখন চাঁদা দিতে হচ্ছে না। সুতরাং দামও কম। আসলে কি তা-ই হলো? সে প্রসঙ্গে পরে আসছি। তার আগে ইলিশ নিয়ে নতুন এক ইতরামির খবর জানাই। ইলিশের দাম কমেছে শুনে বাজার থেকে সরষে কিনে আনলাম। ‘সরষে-ইলিশ’ এখন শুধু পুস্তকে পাওয়া যায়। পুস্তকের রেসিপিকে বাস্তবে রূপ দেয়ার এক কড়া অঙ্গীকার করলাম। বাজারে সস্তায় ইলিশ কিনতে যাবো- এমন প্রস্তুতির মুহূর্তে ফেসবুকে দেখি- ৬০% ছাড়ে ইলিশ বিক্রি হচ্ছে। চাঁদপুরের পদ্মার ইলিশ। একেবারে আড়ৎ থেকে ভিডিও করে ইলিশের সাইজ দেখানো হচ্ছে। একেকটা ইলিশের ওজন দুই কেজির ওপরে। দাম? সস্তার চেয়েও সস্তা! মাথা ঘুরে গেল। এই তো চেয়েছিলাম। আন্দোলনের ফল হাতেনাতে পাচ্ছি! ধমাধম অর্ডার করে ফেললাম। বিক্রেতা অত্যন্ত বিনয়ের সঙ্গে জানালো- “স্যার, ইলিশ হাতে পেয়েই দাম পরিশোধ করবেন। শুধু বরফ এবং প্যাকিং বাবদ ৫৭০ টাকা এখন পাঠিয়ে দিন।” ভাবলাম, বলে কী ব্যাটা! এতো সস্তায় ইলিশ খাওয়াচ্ছিস, চাইলে তোর নামে বাড়ি-ঘর পর্যন্ত লিখে দিতে পারি! ৫৭০ টাকা পাঠিয়ে তাকিয়ে থাকলাম মোবাইলের দিকে। কখন ডেলিভারি ম্যান ফোন দিয়ে বলে- স্যার আপনার ইলিশগুলো রিসিভ করেন! দুইদিন গেল খবর নাই। বাধ্য হয়ে বিক্রেতাকে ফোন লাগালাম।  বিক্রেতা আগের চেয়েও বিনীত ভঙ্গিতে বলল- স্যার, কিছুক্ষণের মধ্যেই ডেলিভারি ম্যান আপনাকে ফোন দিবে! আমাকে অবাক করে দিয়ে সত্যি সত্যি ডেলিভারি ম্যান ফোন দিলো। ইলিশ নিয়ে ৩০ মিনিটের মাথায় আমার বাসায় আসছে বলে আমার মোবাইলে প্রেরিত ওটিপি জানতে চাইলো। আমার মোবাইলে তো কোনো ওটিপি নেই। আবার ফোন দিলাম বিক্রেতাকে। আমার তর সইছে না। এখনই ওটিপি চাই। বিক্রেতা আগের দুবারের চেয়েও বিনয় দেখালো। বলল- স্যার, এখনই আপনার মোবাইলে ওটিপি চলে যাবে। আপনি কিন্তু স্যার মাছগুলো ভালো করে চেক করবেন। যদি কোনো মাছ পছন্দ না হয়, অবশ্যই ফেরত পাঠাবেন। ভাবলাম, এই বিক্রেতাকে কাছে পেলে নিশ্চয় একটু চুমু দিয়ে দিতাম। পরক্ষণেই বিক্রেতা বলল- স্যার ওটিপি পাওয়ার জন্য আপনাকে মাত্র এক হাজার টাকা বিকাশ করতে হবে। বাকি টাকা ডেলিভারি ম্যানের হাতে দিলেই হবে! এক সেকেন্ডের মধ্যেই আমার হুঁশ ফিরলো। আমার ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় বলল- গোলমাল হ্যায় ভাই গোলমাল হ্যায়! ফোনটা কেটে খোঁজ নেয়া শুরু করলাম। যে পেজ থেকে ইলিশের অর্ডার নেয়া হচ্ছিল, সেই পেজে গিয়ে দেখলাম- আমার মতো ভুক্তভোগীর সংখ্যা অসংখ্য। সবাই প্রতারিত। এভাবেই এক শ্রেণির ক্রিমিনাল সাধারণ মানুষের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে অজস্র টাকা। বাস্তবে কোনো ইলিশ পাঠাচ্ছে না।  এটাই এদের ইলিশ-ইতরামি। এবার আগের প্রসঙ্গে ফিরি। ভারতে ইলিশ রপ্তানি বন্ধ করলে স্থানীয় বাজারে তার কী প্রভাব পড়তে পারে? বছরে বাংলাদেশে ইলিশ উৎপাদন হয় প্রায় পাঁচ থেকে ছয় লাখ মেট্রিকটন। আর ভারতে সর্বশেষ ইলিশ রপ্তানি হয়েছিল এক সিজনে প্রায় চার হাজার মেট্রিক টন। দূর্গাপূজা মাথায় রেখেই সাধারণত বাংলাদেশ সরকার ভারতে ইলিশ রপ্তানি করতো। এটাকে বাংলাশের ইলিশ-কূটনীতিও বলা যায়। চীন যেমন ‘পান্ডা-কূটনীতি’ চালায়। তাহলে পাঁচ-ছয় লাখ মেট্রিক টন থেকে চার হাজার মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানি, খুব বেশি মনে হয় না।  তবে মনস্তাত্বিক একটা প্রভাব আছে। সে প্রভাবেই ভারতে ইলিশ রপ্তানির খবর আসার সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশের স্থানীয় বাজারে ইলিশের দাম বেড়ে যায়।  অন্যদিকে পুলিশ এবং নানান জাতের লীগ যে চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত ছিল, সেই ইতরামি যদি সত্যি সত্যি বন্ধ হয়, তাহলে ইলিশের দাম কিছুটা কমার কথা। শেষে আরেক ধরণের ইতরামির নমুনা দিয়ে লেখাটা শেষ করি। আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনে ওই সরকারের সুবিধাভোগী সুশীল সাইনবোর্ডের কিছু মানুষ খুব দাঁত কেলাচ্ছেন। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে বলছেন- কই, ইলিশের দাম নাকি কমেছে? তোমাদের নতুন বিপ্লবী সরকার নাকি সস্তায় ইলিশ খাওয়াবে? কই? পারছে না তো! এই ইতরামির কারণ স্পষ্ট। তাদের গা জ্বলছে। বোঝাতে চাইছে- নতুন সরকার ইলিশের দাম যখন কমাতে পারলো না, তাহলে আগের সরকারই ভালো ছিল। ইতরামি কাহাকে বলে! সোহেল অটল: সাহিত্যিক ও সাংবাদিক [email protected]  
২১ আগস্ট ২০২৪, ১৫:৫৩
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়